‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে আইসিসি-বিসিসিআই


বার্ষিক সূচির আগামী চক্রে (২০২৩-২০৩১ সাল) ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ নামে নতুন দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের আইসিসির পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ভারতীয় বোর্ড ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোয় আগামী মার্চে দুবাইতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি সভায় দুই পক্ষের মধ্যে বিভক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে পারে।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ১০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ এবং ৬ দল নিয়ে ওয়ানডে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ আয়োজন করতে চায় বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর শুরু হবে বার্ষিক সূচির নতুন চক্র। সেখানে মোট আটটি বড় টুর্নামেন্ট রয়েছে। আইসিসির প্রস্তাব অনুসারে, আগামী ২০২৪ ও ২০২৮ সালে টি-টোয়েন্টি ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ এবং ২০২৫ ও ২০২৯ সালে ওয়ানডে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি ২০২৬ ও ২০৩০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ ও ২০৩১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে।
আগে থেকেই আইসিসির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে বিসিসিআই। তাদের সঙ্গে একমত ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডও (ইসিবি)। গেল বছরের অক্টোবরে বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাহনিকে লিখেছিলেন, টুর্নামেন্ট বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে।
কিন্তু বিসিসিআইয়ের আপত্তি আমলে না নিয়ে ‘চ্যাম্পিয়ন্স কাপ’ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে আইসিসি। এমনকি ২০২৩-২০৩১ সালের চক্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ছেলে ও মেয়েদের বৈশ্বিক আসরগুলো আয়োজনে নিলামে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশের জন্য সকল সদস্য দেশকে গেল সপ্তাহে বার্তা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
আয়োজক নির্ধারণে পূর্ণ ও সহযোগী সদস্য দেশগুলোকে নিলামের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী সাহনি। কিন্তু ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোতে গেলেও ভারতে যাননি তিনি।
আইসিসির টুর্নামেন্ট বৃদ্ধির প্রস্তাবের পর বিসিসিআইয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘আমরা এই বিষয়ে খুবই স্পষ্ট। মনে করুন, শীর্ষ বোর্ডগুলি যদি নিলামের জন্য আগ্রহ প্রকাশ না করে, তবে আইসিসি কি নিজেদের মতো করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে? প্রতি বছর আইসিসি ইভেন্টের পরিকল্পনা আসলে বিশ্ব ক্রিকেটের কোনো কাজে আসে না। আইসিসিকে এটি বুঝতে হবে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এটি (প্রতি বছর আইসিসি ইভেন্ট) আইপিএল, বিগ ব্যাশ, দ্বিপাক্ষিক সিরিজকে প্রভাবিত করবে... কোনো ফাঁকা সময় থাকবে না। আর খেলোয়াড়রাই বা কত খেলবেন?’

Post a Comment

0 Comments