অসি স্পিনার হতাশায় অবসর নিলেন

২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের স্কোয়াডে ছিলেন স্টিফেন ও’কিফ। ঘূর্ণি উইকেটের কারণে আসছে জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজেও সম্ভাবনা ছিল তার। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও বেশ ছন্দেই ছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য দল নিউ সাউথ ওয়েলস তবু চুক্তিতে রাখেনি তাকে। একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত, রাজ্য দলে নেই চুক্তি। সব মিলিয়ে লাল বলের সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ৩৫ বছর বয়েসী স্পিনার।
শেফিল্ড শিল্ডের এই মৌসুমেও স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন ও’কিফ। এই বাঁহাতি স্পিনার ৫ ম্যাচ খেলে নেন ১৬ উইকেট। তারচেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে জাতীয় দলের নিয়মিত অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন নেন ১৫ উইকেট।
কিন্তু এমন নৈপুণ্যের পরও ৩৫ বছর বয়েসী ও’কিফকে নতুন চুক্তিতে নেয়নি নিউ সাউথ ওয়েলস। এরপরই তড়িঘড়ি লাল বলে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি,  ‘আমাকে যখন বলা হয় আমি চুক্তিতে নেই, এটা শুনে আমি প্রচণ্ড হতাশ হয়েছি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সম্মান জানিয়ে মেনে নিয়েছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আর খেলব না।’
‘দেশের হয়ে খেলা এবং রাজ্য দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া আমার কাছে গর্বের ছিল। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দারুণ কিছু সতীর্থের সান্নিধ্য আমি পেয়েছি, সেজন্য বেশি গর্ব হয়। একা যখন আমি ভাবি, মনে হয় ক্রিকেটকে সবচেয়ে বেশি মিস করব।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭টি টি-টুয়েন্টি ও ৯টি টেস্ট খেলেছেন ও’কিফ। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরেই। উইকেট বিবেচনায় আসছে জুন মাসে আরেকটি বাংলাদেশ সফরে আলোচনায় ছিল তার নামও। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেই সিরিজই না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
৮৮টি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলে অবসরে গেলেও সিডনি সিক্সার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ চালিয়ে যাওয়ার কথা তার।

Post a Comment

0 Comments