পিনাক-আশরাফুলের ফিফটিতে জবাব দিচ্ছে পূর্বাঞ্চল


নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে এদিন পূর্বাঞ্চলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১৪৬ রান। তাতে মনে হয়েছিল বেশ বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। কিন্তু এ জুটি ভাঙলে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে আসে দক্ষিণাঞ্চল। দ্রুতই দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর আরও তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছে তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন পিনাক। ১৫১ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১২৩ বলে ১২টি চারের সাহায্যে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন আশরাফুল। এছাড়া ৪৪ রান আসে ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকে। ইনজুরি থেকে ফিরে খুব একটা ভালো করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। অবশ্য সেট হয়েছিলেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফিরে যান তিনি। জাতীয় দলের আরেক তারকা আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। দক্ষিণাঞ্চল হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক ও মেহেদী হাসান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে আগের দিনের ৬ উইকেটে ৪৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণাঞ্চলের দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নুরুল হাসান সোহানকে শুরুতেই হারায় তারা। এদিন কোন রানই যোগ করতে পারেননি সোহান। আউট হয়েছেন ১৫৫ রানেই। সবমিলিয়ে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩৯ রান যোগ করতে পারে দলটি। ফরহাদ রেজার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।
পূর্বাঞ্চলের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন রেজাউর রহমান ও সাকলাইন সজীব। ২টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।
 সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন শেষে)
দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ১০১.৩ ওভারে ৪৮২ (আগের দিন ৪৪৩/৬) (নাফীস ১, বিজয় ১২৯, ফজলে ১২, শামসুর ০, আল-আমিন ১৮, সোহান ১৫৫, মেহেদী ১১২, রেজা ২৬, রবিউল ১২*, রাজ্জাক ৪, রাব্বি ৪; হাসান ২/৭২, রেজাউর ৩/৯৬, নোমান ০/৬৫, সাকলাইন ৩/১২৬, আফিফ ০/১৪, আশরাফুল ১/৬৩, নাসির ০/৪২)।
পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৭৮ ওভারে ২৭০/৫ (পিনাক ৮০, আশরাফুল ৭১, ইয়াসির ৪৪, ইমরুল ২৮, আফিফ ১৫, নাসির ১২*, জাকির ১৩*; রেজা ১/১৫, রবিউল ০/৩৬, রাজ্জাক ২/১০২, মেহেদী ২/৯৮, রাব্বি ০/১৩)।

Post a Comment

0 Comments