পাকিস্তান সিরিজ থেকে বাদ পড়েই ছন্দে মোস্তাফিজ



পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণার আগে বিসিএলে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন মোস্তাফিজ। পূর্বাচলের বিপক্ষে সেদিন বেদম পিটুনি খেয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন কাটার মাস্টার। যে কারণে পাকিস্তান সিরিজে তাকে আর বিবেচনায় রাখেননি নির্বাচকরা। তবে শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে নিয়ে বোল্ড হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
মোস্তাফিজের বোলিং তোপে এদিন প্রথম ইনিংসে ৪ রানের লিড পায় মধ্যাঞ্চল। অথচ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৬ রান তুলেছিল দলটি। আগের দিনের ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তুলে ফেলা উত্তরাঞ্চল এদিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শুরুটা করেন মোস্তাফিজ। ফেরান মুশফিককে। তার সঙ্গে দলের বাকী বোলাররাও নিয়ন্ত্রিত বল করেন। ফলে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় উত্তরাঞ্চল।
সাত নম্বরে নামা আরিফুল হক ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। মধ্যাঞ্চলের মোস্তাফিজ ৬৮ রানের খরচায় পান ৪ উইকেট। ২টি শিকার করেন আরাফাত সানি।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ হলেও দিন শেষে ভালো অবস্থানে আছে মধ্যাঞ্চল। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও কোন রান করতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৩টি উইকেট হারায় তারা। এরপর আবদুল মজিদ তাইবুর রহমানের দৃঢ়তায় ৫ উইকেটে ১৮৩ তুলে দিন শেষ করেছে তারা।
দলের পক্ষে ১০৭ বলে ৭ চারে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন মজিদ। ৪৭ রান আসে তাইবুরের ব্যাট থেকে। ২৮ রানে অপরাজিত আছেন শুভাগত হোম। তার সঙ্গী জাকের আলী এখনো রানের খাতা খুলেননি। আগের ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেওয়া উত্তরাঞ্চলের পেসার তাসকিন আহমেদ এদিন ২টি উইকেট পেয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন শেষে)
মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ১৭০
উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৬৩.৪ ওভারে ১৬৬ (আগের দিন ৮৯/৩) (রনি ১৯, জুনায়েদ ৪৭, মাহিদুল ০, নাঈম ২২, মুশফিক ২, তানবির ৫, আরিফুল ৫০, এনামুল ৬, সুমন ০, তাসকিন ০, শাকিল ১*; মোস্তাফিজ ৪/৬৮, শহিদুল ১/৪৯, মুকিদুল ১/৩২, সানি ২/১০, শুভাগত ১/১)।
মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ৫১.৩ ওভারে ১৮৭/৫ (নাঈম ০, মার্শাল ১১, রকিবুল ২৭, মজিদ ৬৯, তাইবুর ৪৭, শুভাগত ২৮*, জাকের ০*; তাসকিন ২/৪৬, শাকিল ১/৪৮, সুমন ১/২২, এনামুল ০/২৫, আরিফুল ১/২৭, তানবির ০/১৮)।

Post a Comment

0 Comments