যে কাজগুলি আপনার শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়


আপনার কাজের জায়গা কি আপনার স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে? হ্যাঁ, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রতিবেদন অনুসারে, আপনার কর্মক্ষেত্রই আপনার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। অন্যান্য পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের তুলনায় নির্দিষ্ট পেশায় কর্মরত ব্যক্তিরা, যেমন - ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের ক্ষেত্রে ত্বক এবং স্তন ক্যান্সারের মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই, প্রতি বছরের মতো এবারও গোটা বিশ্বে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হচ্ছে ৪ ফেব্রুয়ারি।



আজ আমরা আপনাদের এমন কিছু কাজের কথা জানাব যেগুলি আপনার শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। দেখে নিন সেগুলি - ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যে কাজগুলি


 ১) নির্মাণ শ্রমিক ক্যান্সারের অন্যতম সাধারণ প্রকার প্রভাবিত করে নির্মাণ শ্রমিকদের, তা হল ত্বক ক্যান্সার। দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের ক্ষতিকর আলোয় থাকার কারণে তাদের ত্বকের ক্ষতি হয় এবং এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এছাড়া, মেসোথেলিয়োমা নামক এক ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও থাকে নির্মাণ শ্রমিকদের।

 ২) রবার নির্মাতা রাসায়নিক, রাসায়নিক বাষ্প, ধূলো এবং অন্যান্য উপজাত পণ্যগুলির সংস্পর্শে আসার কারণে রাবার নির্মাতাদের পাকস্থলী, ফুসফুস এবং মূত্রাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই শিল্পে কাজ করা ব্যক্তিদের লিউকেমিয়াস এবং লিম্ফোমাস হওয়ার ঝুঁকি আছে 

৩) কৃষক একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে যে, কৃষিকাজে কর্মরত নারী ও পুরুষ উভয়েরই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ, কীটনাশক, সার এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানগুলি কৃষিকাজে ব্যবহারের সময় তা শরীরে প্রবেশ করে এবং এই সকল রাসায়নিকের অত্যধিক এক্সপোজারের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ যেমন-লিম্ফোমাস, লিউকেইমিয়াস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

৪) হেয়ারস্টাইলিস্ট ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুসারে, চুলের শিল্পে কর্মরত ব্যক্তিরাও ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কারণ, চুলে ব্যবহৃত রঙ এবং রঙে থাকা রাসায়নিকগুলির দ্বারা বেশি পরিমাণে এক্সপোজড হন তারা। এই ক্যামিকেলগুলি অনায়াসেই শরীরে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে এটি মূত্রাশয় এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ৫) খনি বিভিন্ন খনিতে কর্মরত মানুষেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। যেমন ডিজেল নিষ্কাশন ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়াও, কয়লা খনি, ইটের খনি ইত্যাদি কাজের প্রক্রিয়া চলাকালীন ফুসফুসে জমা হওয়া ধূলিকণা ফুসফুসের টিস্যুগুলিকে কালো করে দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, কর্মক্ষেত্র-সম্পর্কিত ক্যান্সারের হার গত কয়েক দশকে অনেকটাই কমেছে। এটি কেবলই সুরক্ষা বিধি বৃদ্ধি ও প্রচারের কারণে। তবে, যদি আপনি কখনও ভাবেন যে আপনার কাজটি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে, তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের কাছে যান এবং পরামর্শ নিন।

Post a Comment

0 Comments