পাকিস্তানে টি -২০ ও টেস্ট এ ভরাডুবিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড


পুরো দেশ যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যে ভাসছে, তখন আরও একবার ব্যর্থতা উপহার (!) দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। আরও একটি অসহায় হার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ও ৪৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে মুমিনুল হকের দল। মূলত, গত বিশ্বকাপ থেকে সব সংস্করণের ক্রিকেটেই বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। এই বৃত্ত ভাঙতে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বেশ কঠিন সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মূলত বাংলাদেশের হারের চেয়ে হারের ধরনই বেশি দৃষ্টিকটু। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে যেন ভয়ে কাঁপছিল তারা। সে ধারা দেখা গেল পাকিস্তানেও। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পিন্ডি স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে দেড় ঘণ্টাও টেকেনি বাংলাদেশের প্রতিরোধ লড়াই। এর আগে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে নাস্তানুবাদ হয়ে এসেছে দলটি। এমনকি ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটের নবীন সদস্য আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হেরেছে বাংলাদেশ। যেন ব্যর্থতার মালা গলায় জড়িয়ে আছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তাই এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে নিজেকে আরও বেশি করে জড়িত করার কথা বলেছেন পাপন।

পাকিস্তানে টাইগারদের ব্যর্থতার পর বিসিবি কার্যালয়ে বিসিবি সভাপতি বেশ কঠিন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘অবশ্যই, অনেক বেশি। আমি এসব থেকে সরে আসতে চাচ্ছিলাম। দুই বছর ধরেই বলছি, আমি এখন আর আগের মতো জড়িত না। এত দিনে ওদের শিখে যাওয়ার কথা। এখন মনে হচ্ছে, সবকিছুতে জড়িত না হয়ে উপায় নেই। হতেই হবে এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।’
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ দল আসার পর দুই-একদিনের মধ্যেই দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন পাপন। এরপর তিনি চেষ্টা করবেন টানা ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করার, ‘ওটা নিয়ে আমরা নিয়ে চিন্তা করব। খেলোয়াড় বলেন, ম্যানেজমেন্ট বলেন, কোচিং স্টাফ বলেন- সবার সঙ্গে কথা বলার এখন বোধহয় সময় এসে গেছে। একটু বিস্তারিত জানতে হবে যে সমস্যাটা কোথায়।’

কেন কঠিন সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘পাকিস্তানে যা হয়েছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। আসলে শেষ বিশ্বকাপ থেকে আসার পর যতগুলো খেলা হয়েছে, তার কোনোটাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আগে যেটা ছিল, তার সঙ্গে মিল পাই না। তাদের মনোভাব, দেহ ভঙ্গিমা, খেলা কোনো কিছুই আগের মতো মনে হয় না। এটা আলাদা। এটা নিয়ে অবশ্যই বসে থাকব না। কাজ তো করতেই হবে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দেখেন, ট্রাইনেশনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেখেন, এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে দেখেন- একই কথা। এমনকি ভারতের সঙ্গেও। যতো দিন যাচ্ছে, উন্নতির কোনো লক্ষণই দেখছি না।’
জানা গেছে, টানা ব্যর্থতার কারণে জাতীয় দলে ব্যাপক রদবদল হতে পারে। বদল আসতে পারে নেতৃত্বেও। কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টেও পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। তবে এসব বিষয়ে খুলে বলেননি পাপন। আপাতত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাফল্য নিয়ে ভাবছেন তারা। দুই-তিনদিন পরই এ নিয়ে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।

Post a Comment

0 Comments