মেসি-রোনালদোকে কেনা হবে, মজা করতেন ম্যানসিটির খেলোয়াড়রা


পাবলো জাবালেতা যখন ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন, তখনও থাকসিন শিনাওয়াত্রার অধীনেই ছিল ক্লাবটি। ইংলিশ লিগে খেলার স্বপ্নেই লা লিগার দল এস্পানিয়ল ছেড়ে সিটিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু যোগ দেওয়ার অল্প কয়েকদিন পরই সব চিত্র যায় পাল্টে। ক্লাবটি কিনে নেয় আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ। হঠাৎ করেই বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাবে পরিণত হয় তারা। ফলে একের পর এক তারকারা যোগ দিবেন এমন প্রত্যাশাই করেছিলেন জাবালেতারা। এ নিয়ে মজা করতেও ছাড়েননি।
২০০৮ সালে সিটি ক্লাব কিনে নেয় আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ। অর্থের ঝনঝনানিতে দলকে গ্যালাক্টিকোস বানানোর এক রকম ঘোষণা দিয়েই নামেন তারা। শুরুতেই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তখনকার আলোচিত ফুটবলার রবিনহোকে কিনে আনে সাড়ে ৩২ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে। ইঙ্গিতটা তখন ভালো মতোই পেয়েছিলেন সিটির খেলোয়াড়রা। প্রতিদিন ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পর তাদের আলোচনায় থাকতো এরপর কে আসছেন, এ নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই তখনকার খেলোয়াড়রা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কায় ছিলেন।
সম্প্রতি লা নেসিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই সব দিনের স্মৃতি তুলে ধরেন জাবালেতা, 'আমি যোগ দেওয়ার ১০ দিন পর আবুধাবির লোক ক্লাবটি কিনে নেয়। চার দিন তারা ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে রবিনহোকে কিনে আনে। তখন আমি বলি, "এখন আমি কি করবো? আমিতো এখানে মাত্র ছয় মাসও টিকবো না।" আমরা তখন অনেক মজা করতাম এ নিয়ে। লকার রুমে আমরা বলতাম এরপর কি মেসি, রোনালদোকে আনবে? আমরা নিজেদের মধ্যে মজা করতাম।'
তবে মেসি-রোনালদোদের দলে না টানতে পাড়লেও সে মৌসুমেই গ্যারেথ বারি, রকি সান্তা ক্রুজ, এমানুয়েল আদেবায়োর, কার্লোস তেভেজ ও জোলেয়ন লেসকটকে কিনেছিল তারা। পরবর্তীতে এদেন জেকো, সামির নাসরি, দাভিদ সিলভা, মারিও বালেতেল্লি, সের্জিও আগুয়েরোর মতো খেলোয়াড়দের কিনে আনে। বর্তমানে দলটি আরও শক্তিশালী। বর্তমান বিশ্বের অনেক নামীদামী খেলোয়াড়ই আছেন দলে।
উল্লেখ্য, ক্লাবের হয়ে প্রায় এক দশক সাফল্যের সঙ্গে খেলার পর ২০১৭ সালে ম্যানসিটি ত্যাগ করেন জাবালেতা। সিটির জার্সিতে ৩০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মোট ৩৩৩ টি ম্যাচ খেলে এ ক্লাবের হয়ে জিতেছেন দুটি প্রিমিয়ার লিগসহ ছয়টি শিরোপা।

Post a Comment

0 Comments