পাপিয়ার ওয়েস্টিনযোগ তদন্তে আসছে | সোশাল মিডিয়ায় আসা নাম ভিডিও

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অভিযোগ ও মামলা সংক্রান্ত কিছু ভিডিও এবং কিছু তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে।
“আমরা প্রতিটি বিষয়ই আমলে নিয়েছি। প্রতিটি বিষয়ই গুরুত্ব সহকারে আমরা খতিয়ে দেখছি। এর মধ্যে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও রেলেভেন্ট ইলিমেন্ট আমরা পিক করছি। সবকিছু সাপেক্ষেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
যুব মহিলা লীগের মতো একটি সংগঠনের একটি জেলার সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওয়েস্টিনের মতো পাঁচতারা হোটেলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট মাসের পর মাস ভাড়া রেখে পাপিয়ার নানা অপকর্মে প্রভাবশালীদের মদদ থাকার বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছেও স্পষ্ট।
এরই মধ্যে এতে জড়িত হিসেবে কয়েকজন সচিব, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, টকশোর আলোচক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীর নাম সোশাল মিডিয়ায় এসেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পাপিয়ার সঙ্গে জড়িত হিসেবে বিভিন্নভাবে যাদের নাম আসছে, তাদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট সংগ্রহের কাজ চলছে।
পাপিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনে বহু ভিডিও পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা, যেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। 
ওয়েস্টিন হোটেলের মূল মালিক ব্যবসায়ী নূর আলীর সঙ্গে পাপিয়ার গল্প করার একটি 
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা, ওয়েস্টিনের মালিক ও পরিচালনা কর্তৃপক্ষের শীর্ষ ব্যক্তিরা পাপিয়ার অপকর্মের কথা ভালোভাবেই জানতেন।
তাই ওয়েস্টিন হোটেলকেও তদন্তের আওতায় আনতে চাইছে র‌্যাব; যারা পাপিয়াকাণ্ডের তদন্তভার আনুষ্ঠানিকভাবে পেতে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়াকে র‌্যাবই গ্রেপ্তার করেছিল; জাল মুদ্রা, অস্ত্র ও মদ উদ্ধারের ঘটনায় তিনটি মামলা তারাই করেছিল।
প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিলেও একদিন বাদে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)।
তিন মামলায় পাপিয়াকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে; জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার স্বামী নরসিংদীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনকেও।
পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে আমরা যে সব তথ্য পাচ্ছি, সেগুলো আমরা বিশ্লেষণ করছি। তার এই অপকর্মের সাথে যদি অন্য কারও কোনো রকমের সংশ্লিষ্টতা আমরা পাই। আমরা তাদেরকেও বিবেচনায় নিচ্ছি।
“আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে এই তদন্তকে বিবেচনা করছি। এইক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা ও আয়োজনের কোনো অপর্যাপ্ততা থাকবে না।”
তিনি জানান, মুদ্রা পাচারের অভিযোগটি সিআইডি তদন্ত করছে।
পাপিয়াকাণ্ডে নানাজনের নাম আসার বিষয়ে সহকারী আইজি সোহেল রানা বলেন, “ইনভলবমেন্ট ও পার্টিসিপেশনের গুরুত্ব ও রেশিও সাপেক্ষে আমরা আইনের বিধিবিধান মোতাবেক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই।”

Post a Comment

0 Comments