বেতনে ছাড় দিলেন মেসিরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বার্সার চুক্তি চূড়ান্ত,




মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ, তাই ক্লাবের আয়ও বন্ধ। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেতন-ভাতা কমানো নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে বার্সেলোনা কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়েছে কয়েক দফা। কারণ, সমঝোতায় আসা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুই পক্ষের মধ্যে হয়েছে চুক্তি। লিওনেল মেসিরা বেতনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছেন।
কেবল বার্সেলোনার ফুটবল দলই নয়, বাস্কেটবলসহ ক্লাবের সব ধরনের পেশাদার দলের খেলোয়াড়রাই বেতন কাটার প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারিশ্রমিক সঠিক সময়ে দেওয়া নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজস্ব ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা, ‘চলমান ক্রান্তিকালে বার্সেলোনার সব ধরনের পেশাদার স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ডের একটি চুক্তি হয়েছে। তাতে তারা বেতন-ভাতা কম নেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছেন।’
খেলোয়াড়দের বাৎসরিক বেতনের অঙ্কের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো শুধু খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা দিতেই খরচ করে ক্লাবটি।
তবে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলেনি ক্লাবটি। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের সংবাদ অনুসারে, পরিমাণটা মূল বেতনের প্রায় ৭০ শতাংশ। কয়েকদিন আগে এই পরিমাণ অর্থ ছাড় দিতেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ক্লাব কর্মকর্তারা। তখন আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন খেলোয়াড়রা।
করোনাভাইরাসের কারণে বার্সেলোনার আয় সম্পূর্ণ বন্ধ বললেই চলে। খেলা না থাকায় টেলিভিশন স্বত্ব, ম্যাচ জয়ের প্রাইজমানি, ম্যাচের টিকিট বিক্রি- কোনোকিছু থেকেই আয় হচ্ছে না তাদের। করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ বার্সা জাদুঘরও। প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত তা পরিদর্শন করায় বড় অঙ্কের আয় হতো ক্লাবটির।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক ঘাটতি পোষাতে প্রিমিয়ার লিগসহ ইউরোপের অন্যান্য লিগের ক্লাবগুলোও খেলোয়াড়দের বেতন কাটছাঁটের কথা ভাবছে। অনেক ক্লাব এরই মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নিয়েছে। জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা চার মাসের বেতন না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দুই জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররাও ক্লাব কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। তাদের বেতনের ২০ শতাংশ কাটা পড়বে।

Post a Comment

0 Comments