২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। ২৪ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চসহ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। অবশ্য অ্যাম্বুলেন্স বা প্রয়োজনীয় যান পারাপারের জন্য ফেরি সীমিত আকারে চলবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ। তবে মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন সীমিত পরিসরে চলবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানের সব ফ্লাইটও বন্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট চলাচল একেবারেই সীমিত। শুধু লন্ডন, চীন ও হংকং রুটে ফ্লাইট চালু। তবে লন্ডন রুটের ফ্লাইট আজ সোমবার রাত ১২টার পর থেকে বন্ধ হবে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া-আসা বন্ধ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ২৪ মার্চ থেকে সশস্ত্র বাহিনী নেমেছে। মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই নামাজ আদায় ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা সীমিত করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কাজের ক্ষেত্রে ছুটি প্রযোজ্য হবে না। ওষুধ, খাদ্য প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য শিল্পকারখানা, প্রতিষ্ঠান, বাজার, দোকানপাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে। জরুরি পরিবহন যেমন ট্রাক, কার্গো, অ্যাম্বুলেন্স ও সংবাদপত্রবাহী গাড়ি যথারীতি চলবে। খোলা থাকবে হোটেল ও বেকারিগুলো। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে।
0 Comments