নাঈমের হাত ধরে একটু এগিয়ে বাংলাদেশ

আগের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে কৌশল বেছে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশের বিপক্ষেও এগিয়েছে তেমন মন্থর পথচলায়। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে শনিবার তারা ৯০ ওভারে তুলেছে ৬ উইকেটে ২২৮ রান।
শন উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে এই টেস্টে নেতৃত্ব পাওয়া আরভিন খেলেন দুর্দান্ত ইনিংস। দিনের শেষ প্রান্তে ১০৭ রান করে তার বিদায়েই হয়তো দিন শেষে একটু এগিয়ে বাংলাদেশ।
সেই ১৯৯২ সালে ডেভ হটনের পর জিম্বাবুয়ের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নেতৃত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করলেন আরভিন। 
উইকেট বেশ ব্যাটিং সহায়ক। টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ তবু দিন শেষে হাসতে পারছে নাঈমের সৌজন্যে। দিন জুড়েই তিনি ছিলেন অসাধারণ। প্রথম দিনেই করেছেন ৩৬ ওভার বোলিং, ৬৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
উইকেটগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার ম্যারাথন স্পেলে বোলিং। এক পর্যায়ে টানা ৩২ ওভারের স্পেল করেন তরুণ অফ স্পিনার। চার বোলারের বোলিং আক্রমণে তাই আরেক প্রান্তে অন্যদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করাতে পেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলামের পারফরম্যান্স ছিল নাঈমের উল্টো। দিনের শেষ ওভারের আগে ২০ ওভার করেও মেডেন পাননি। অভিজ্ঞ স্পিনারের বোলিং ছিল একদমই নির্বিষ।
দিনের প্রথম ভাগে বাংলাদেশকে ভোগান প্রিন্স মাসভাউরে ও আরভিন। প্রথম ঘণ্টায় যদিও দাপট ছিল বাংলাদেশের।
শীতের রেশ খুব একটা না থাকলেও সকালের উইকেটে আর্দ্রতা ছিল খানিকটা। সেটি কাজে লাগিয়ে দারুণ বোলিং করেন আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেন। দুজনের লাইন-লেংথ ছিল দুর্দান্ত, সুইংও পান যথেষ্ট। জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার খেলতে পারেননি স্বস্তিতে।

সঙ্গীদের নিয়মিত হারিয়েও খেই হারাননি আরভিন। আপন ছন্দে এগিয়ে পা রাখেন তিন অঙ্কে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ৪ টেস্ট খেলে তার সর্বোচ্চ ছিল ৩৫, গড় ছিল ২১। সেই ব্যাটসম্যানই এবার করলেন সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি।
২০১০ সালে অ্যালেস্টার কুকের পর বাংলাদেশে এসে সফরকারী অধিনায়কের এটিই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
আরভিন ছিলেন বলেই দিনটি বলা যাচ্ছিল না বাংলাদেশের। শেষ বেলায় দিনের দুই নায়কের দ্বৈরথে জিতলেন নাঈম। ২২৭ বলে ১০৭ করে বোল্ড হলেন আরভিন। বাংলাদেশ পেয়ে গেল পথরেখা।
সেই পথরেখা ধরে এগিয়ে দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়ের ইনিংস দ্রুত শেষ করার আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় নতুন বল এখনও বেশ চকচকে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২২৮/৬ (মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেইলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৯*, টিরিপানো ০*; ইবাদত ১৭-৮-২৬-০, আবু জায়েদ ১৬-৪-৫১-২, নাঈম ৩৬-৮-৬৮-৪, তাইজুল ২১-১-৭৫-০)।

Post a Comment

0 Comments