ডাবল সেঞ্চুরিতে তামিমকে ছাড়িয়ে চূড়ায় মুশফিক


বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তিনি। সর্বাধিক ডাবল সেঞ্চুরির মালিকও বটে। এবার সে সংখ্যাটাকে আরও বাড়ালেন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অসাধারণ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিলেন অভিজ্ঞ তারকা। পাশাপাশি তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের চূড়ায়ও পৌঁছালেন মুশফিক।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই দারুণ ব্যাট করতে থাকেন মুশফিক। আগের দিনের ৩২ রান নিয়ে খেলতে নেমে সকালের সেশনে ৯৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। এরপর ১৬০ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার। আর ডাবল সেঞ্চুরই করতে ৩১৫ বল মোকাবেলা করেন তিনি। সময়ের হিসাবে, ৪৩৪ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। নিজের ইনিংসটি ২৮ চারের সাহায্যে সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩১৮ বলে ২০৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।
এ ম্যাচে নামার আগে তামিমের চেয়ে ১৬৪ রানে পিছিয়ে ছিলেন মুশফিক। ওপেনিংয়ে নেমে ৪১ রান করে ব্যবধান ১৯৫ রানে বাড়িয়ে নেন বাঁহাতি তারকা। তবে সাদা পোশাকে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েই তামিমকে টপকে যান মুশফিক। সিকান্দার রাজার বলে শাফল করে সিঙ্গেল নিয়ে তামিমকে ছাড়ান। এর দুই ওভার পর সেই রাজার বলে কাট করে পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দ্বিশতক পূর্ণ করেন লিটল মাস্টার।
টেস্টে এখন মুশফিকের সংগ্রহ ৪৪১৩ রান। ৭০ ম্যাচে ১৩০ ইনিংস খেলে এ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি মোট ৭টি। হাফসেঞ্চুরি আছে ২১টি। ৬০ টেস্টে দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিমের সংগ্রহ ১১৫ ইনিংসে ৪৪০৫ রান।
গেল নভেম্বরে ভারত সফরের আগেই গ্লাভস ছেড়েছিলেন মুশফিক। এরপর ব্যাট হাতে তার ছন্দটা যেন আরও বেড়ে গেছে। ভারতে সব ব্যাটসম্যানই যখন হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন একাই প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দুই টেস্টেই পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা। এরপর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন তো অনন্য মাইলফলকেই পৌঁছালেন। দায়িত্ব কমায় ব্যাটিংয়ে যে আরও মনোযোগ দিতে পারছেন, তার প্রমাণ রাখছেন মুশফিক।
এর আগে ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি করেছিলেন মুশফিক। এরপর অবশ্য সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও দ্বিশতক হাঁকিয়ে তার পাশে বসেছিলেন। তাদের ছাপিয়ে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০১৮ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটি করেন মুশফিক।
৩২ বছর বয়সী তারকার সেঞ্চুরির পরপরই ২৯৫ রানের বিশাল লিড নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে।

Post a Comment

0 Comments