খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর কারা সেলে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্যকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমার আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা চান কিনা তা জানাতে বলা হয়েছে। যদি তার সম্মতি থাকে, তাহলে মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসা শুরু করেছেন কিনা তাও উপাচার্যকে উল্লেখ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনের ওপর শুনানির করে এ আদেশ দেন।  
সেইসঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন আদালত।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন আদালতকে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, “গত ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। তিনি খুবই অসুস্থ, হাঁটাচলা করতে পারছেন না এবং একা নিজের ওষুধও নিতে পারছেন না।”
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে যেতে খালেদা জিয়ার জামিন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
মানবিক এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে আদালতে আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, এর আগে হাইকোর্ট একই ধরনের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন এবং আপিল বিভাগও প্রত্যাখ্যান আদেশ বহাল রেখেছেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগ আনা হয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাস্টের জন্য তহবিল সংগ্রহের।

Post a Comment

0 Comments