শেষ মুহূর্তের গোলে বিদায় বার্সেলোনারও

Messi

মাঠে নামার সময় জানতে পেরেছিল কোপা দেল রে থেকে বিদায় নিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। এবার তাদের মতোই বাড়ির পথ ধরল বার্সেলোনাও। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ইনাকি উইলিয়ামসের দেওয়া গোলে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় কাতালানদের। অ্যাতলেটিক বিলবাওর মাঠে এদিন ০-১ গোলের ব্যবধানে হারে গতবারের ফাইনালিস্টরা। সেমি-ফাইনালের টিকেট কাটে বিলবাও।
এদিন ৬৮ শতাংশ বল পায়ে রেখে খেলছিল বার্সেলোনা। ভালো কিছু আক্রমণও করেছিল দলটি। কিন্তু সুবর্ণ দুটি সুযোগ নষ্ট করেন লিওনেল মেসি ও আতোঁয়ান গ্রিজমান। ফলে জয় অধরা থেকে যায় কাতালানদের।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো বার্সা। দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে আনসু ফাতিকে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যে শট রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় নষ্ট হয় সে সুযোগ। তবে দশম মিনিটে গোল খেয়ে বসেছিল বার্সেলোনা। তবে অফসাইডে থাকায় ভিএআরে সে যাত্রা বেঁচে যায় দলটি। 
৩০তম মিনিটে ভুল পাস দিয়ে গোল খাইয়ে দিয়েছিলেন টের স্টেগেন। কিন্তু দানি গার্সিয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাঁচ মিনিট পর গার্সিয়ার হেড ধরে ফেলেন স্টেগেন। ৬১তম মিনিটে গোলমুখে জটলায় বল ধরতে গিয়ে হাত ফসকে বল বেরিয়ে যায় গোলরক্ষক উনাই সিমনের। ফাঁকায় বল পেয়ে যান ইভান রাকিতিচ। একেবারে গোললাইন থেকে তার শট ফিরিয়ে দেন বিলবাওর এক খেলোয়াড়।
৬৮তম মিনিটে মেসির পাস থেকে বাঁ প্রান্তে অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন জর্দি আলবা। তবে তার কোণাকোণি শট ধরে ফেলেন গোলরক্ষক সিমন। দুই মিনিট পর দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করে বার্সা। ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের নিখুঁত এক পাশে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সের্জি রবার্তো। নিজে শট নিলে গোল পেতেও পারতেন। কিন্তু ক্যাটব্যাক করেন গ্রিজম্যানকে। অবশ্য ভালো শট নিয়েছিলেন এ ফরাসীও। কিন্তু তার চেয়েও দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে সে শট রুখে দেন গোলরক্ষক সিমন।
৮৮তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন মেসি। বদলী খেলোয়াড় আর্থুর মেলোর নিখুঁত এক পাশে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন এ আর্জেন্টাইন। ভালো শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সে শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফলে হতাশা বাড়ে সফরকারীদের। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে দলটি। ইবাই গোমেজের ক্রসে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন উইলিয়ামস। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কাতালানদের।

Post a Comment

0 Comments